

চলতি ডিসেম্বরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়বে কি না, তা জানা যাবে আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর)। আজ ডিসেম্বর মাসের জন্য এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সোমবার (১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিইআরসি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত ডিসেম্বরের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি মাসে ভোক্তাপর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের আদেশ আজ ঘোষণা করা হবে। সেখানে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাম ঘোষণা করা হবে। এছাড়া, এলপিজির দাম ঘোষণা সংক্রান্ত আদেশ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.berc.org.bd) পাওয়া যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সবশেষ গত ২ নভেম্বর এলপি গ্যাসের দাম সমন্বয় করেছিল বিইআরসি। তখন ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৬ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি একই দিন অটোগ্যাসের দাম ভোক্তাপর্যায়ে ১ টাকা ১৯ পয়সা কমানো হয়। ফলে সবশেষ সমন্বয়ের পর বর্তমানে মূসকসহ প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৫৫ টাকা ৫৮ পয়সা।
২ ডিসেম্বর, ২০২৫
দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমূখী রয়েছে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। এতে বাজারে গিয়ে ফুঁসে উঠছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। কেউ কেউ সরকারের নীতি সিদ্ধান্তকে দায়ী করে কটুক্তি করতেও পিঁছু হাটছেন না। অথচ পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে পেঁয়াজের ব্যাপক দরপতন হওয়ায় ব্যবসায়ীরা তাদের সরকারি নীতিকে দুষছেন। এদিকে বাংলাদেশে পেঁয়াজে সংকট নেই বলে জানাচ্ছে সরকার। অথচ দেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সংকট থাকায় দাম কমছে না। একপর্যায়ে ভারতের পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা এলেও শেষ পর্যন্ত আমদানির অনুমোদন মেলেনি। এতে খুচরা বাজারে মাসের অধিক সময় ধরে শতক ছাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে রান্না ঘরের অতীব জরুরি এই পণ্যটি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার সকালে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহেও এই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়। বাজারে তিন ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, মাঝারি সাইজ ১১০ টাকা এবং এবং বড় সাইজের পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে স্থির রয়েছে। মুগদা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা গৃহকর্মী রাবেকা খাতুন বলেন, ‘বাসা-বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কয়ডা টাহা (টাকা) পাই। তা দিয়ে দুইডা ছেলে-মেয়ে নিয়ে চলতে হয়। তার উপর দুইদিন পরপর এক একটা সবজির দাম অনেক বাইড়া যায়। সরকারে যে-ই আসে আমাদের কথা তারা ভুলে যায়। দাম বাড়লে বড়লোকের তো অসুবিধে হয় না। পেটে লাথি পড়ে তো আমাদের।’ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশে ৭ লাখ ২৪ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল। যা দেশটির মোট রপ্তানির ৪২ শতাংশ ছিল। সেখানে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ মাত্র ১২ হাজার ৯০০ টন পেঁয়াজ কিনেছে ভারতে পেঁয়াজের বাজার কেমন জানা গেছে, ভারতের স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। এই দাম বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ কম। দেশটি থেকে বাংলাদেশ, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় সরবরাহ ব্যাপক বেড়ে গেছে। এতে স্থানীয় বাজারেও পেঁয়াজের দাম তলানিতে নেমেছে। বাংলাদেশ এখন স্থানীয় কৃষকদের রক্ষায় ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনছে না। ফলে দেশটির প্রধান পেঁয়াজ রপ্তানির বাজার নষ্ট হয়ে গেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশে ৭ লাখ ২৪ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল। যা দেশটির মোট রপ্তানির ৪২ শতাংশ ছিল। সেখানে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ মাত্র ১২ হাজার ৯০০ টন পেঁয়াজ কিনেছে। বাজারে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমাদনির জন্য আমাদের ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করেছে। তারা কোর্টেও গেছেন, যাতে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের কথা চিন্তা করে পেয়াজ আমদানি করতে দেওয়া হয়নি কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী যদিও এরজন্য দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, ‘রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক বাজারে না থাকায় তাদের ক্রেতারা বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজে নিয়েছে।’ বাংলাদেশে কেন পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমূখী পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির বেশ কিছু কারণ দৃশ্যমান। প্রথমত, উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য। দ্বিতীয়ত, পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাব। তৃতীয়ত, মৌসুমের শেষ পর্যায় এবং চতুর্থত, বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ক্ষতি হওয়া। সাধারণত, প্রতিবছরে নির্দিষ্ট কোনো এক সময়ে এই কারণগুলোর জন্য পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। এ বছর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমদানি বন্ধ থাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিবছর মৌসুম শেষের দিকে এসে পেঁয়াজের দামে বড় উল্লোফন দেখা যায়। বিশেষ করে অক্টোবর-ডিসেম্বরে বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখা যায়। নতুন পেঁয়াজ পুরোপুরি বাজারে না আসা পর্যন্ত অস্থিরতা চলমান থাকে। এই সংকট ব্যবসায়ীরাই কৃত্রিমভাবে তৈরি করেন অনেক ক্ষেত্রে। সরকারের উচিত বছরের শেষ সময়কে টার্গেট করে স্থায়ী একটা সমাধান খোঁজা। সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হচ্ছে গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাজারে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমাদনির জন্য আমাদের ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করেছে। তারা কোর্টেও গেছেন, যাতে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের কথা চিন্তা করে পেয়াজ আমদানি করতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজের নতুন একটি জাত উদ্ভাবন করেছে, সেটি গ্রীস্মকালীন। ওই পেঁয়াজটা বাজারে আসতে শুরু করেছে। আবার মুড়িকাটা পেঁয়াজটাও আসা শুরু হয়েছে। এ জন্য পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কৃষি উপদেষ্ট আরও বলেন, আমদানি করলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষকরা একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে কিন্তু তারা চাষের দিকে আর যাবে না। এ জন্য আমাদের সবসময় কৃষকদের দিকে তাকাতে হবে।

Best IT Agency
২৩ নভেম্বর, ২০২৫
দেশের বাজারে আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) স্বর্ণ ভরিতে ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকা বিক্রি হবে। সর্বশেষ শনিবার (১৫ নভেম্বর) স্বর্ণ ভরিতে ৫ হাজার ৪৪৭ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজুসের জানায়, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম এখন ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দামর ১ লাখ ৪১ হাজার ৭১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরি কমবেশি হতে পারে। এর আগে, সবশেষ ১৩ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা ১৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছিল। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৩ বার, আর কমেছে মাত্র ২৪ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার। এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।

বিগত চার মাসের বেশি সময় ধরে দামের উচ্চগতি থাকা সবজির দাম কমে আসতে শুরু করেছে। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। দরজায় কড়া নাড়া শীত আসলে সবজির দাম আরও কমে আসবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়– বাজারে সবজির দাম কমে আসার পাশাপাশি, প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ হয়েছে বিভিন্ন রকমের সবজির। আজকের বাজারে প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, প্রতি কেজি বরবটি ৬০ টাকায়, প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকায়, প্রতি কেজি শসা ৫০ টাকায়, গাজর (দেশি) প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, টমেটো প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিচিঙ্গা প্রতি ৬০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা, কাঁচা কলা (প্রতি হালি) ৪০ টাকা, বেগুন (গোল) প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধন্দুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কঁচুর লতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা। কঁচু প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ফুল কপি (ছোট) প্রতি পিস ৫০ টাকা, জালি প্রতি কেজি ৪০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা এবং বাঁধা কপি (ছোট) প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আলম সরদার। তিনি বলেন, গত চার মাস ধরে সবজির দাম অতিরিক্ত বেশি ছিল। আমাদের মত সাধারণ ক্রেতারা ঠিকভাবে সবজি কিনতে পারছিল না অতিরিক্ত দামের কারণে। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সেই হিসেবে আজও সবজির দাম তুলনামূলক কম। দুই একটি সবজি ছাড়া বেশিরভাগ সবজি এখন ৪০ থেকে ৬০ টাকার ঘরে, যা আগে ছিল আশি থেকে ১২০ টাকায়। মূলত শীত আসছে তাই সবজির দাম কমে আসতে শুরু করেছে। বাজারের সবজি বিক্রেতা আজিজুল হক বলেন, আজ বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কম যাচ্ছে। সবজির দাম কম হওয়ায় বিক্রিও বেড়েছে আগের তুলনায়। বর্তমানে বেগুন, টমেটো সহ দুই একটি সবজি ছাড়া বাকিগুলো ৪০ থেকে ৬০ টাকার ঘরে দাম। শীতের সবজির দাম বাজারে কম থাকে, কিছুদিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শীত পড়তে শুরু করবে। আসন্ন শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সবজির বাজারে, তাই সবজির দাম কমে আসতে শুরু করেছে। শীত পড়লে সবজির দাম আরো কমে আসবে

দেশের বাজারে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বর্ণ ভরিতে ২ লাখ ২ হাজার ৭০৯ টাকায় বিক্রি হবে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) স্বর্ণ ভরিতে ৮ হাজার ৯০০ টাকা বাড়িয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ২ হাজার ৭০৯ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫০৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। সবশেষ গত ২৮ অক্টোবর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল ২৯ অক্টোবর থেকে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭১ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৯ বার, আর কমেছে মাত্র ২২ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার। স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।

চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ১৯২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৩ হাজার ৪৩৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার সমান (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অক্টোবরের প্রথম ২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯২ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের ১৭৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের তুলনায় বেশি। অর্থাৎ, বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরেছে। তাদের মতে, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির ফলেই রেমিট্যান্স প্রবাহে এ ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ৮৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ফলে সময়ের ব্যবধানে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল নিম্নরূপ : জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি ডলার, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে’তে ২৯৭ কোটি ডলার, জুনে ২৮২ কোটি ডলার, জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং আগস্টে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
২৫ অক্টোবর, ২০২৫
দেশের বাজারে টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম আরও বেড়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে এক ডলারের বিক্রয়মূল্য ছিল ১২২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৭৫ পয়সা। যা গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ছিল ১২২ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার সোনালী ব্যাংকে এক ডলারের বিক্রয়মূল্য ছিল ১২২ টাকা ৬০ পয়সা। ক্রয়মূল্য ছিল ১২১ টাকা ৬০ পয়সা। এ ছাড়া স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে এক ডলারের বিক্রয়মূল্য ছিল ১২২ টাকা ৭৫ পয়সা। ক্রয়মূল্য ছিল ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা। অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে বিক্রয়মূল্য ও ক্রয়মূল্য ওঠানামা করে ১২২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৭৫ পয়সায়। ডলারের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আন্তঃব্যাংক বিনিময় হারকে প্রভাবিত করে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশি দামে ডলার কেনা, আমদানি এলসি খোলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়াসহ বেশকিছু কারণে সম্প্রতি ডলারের দাম বেড়েছে।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫
দেশের বাজারে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। এরই মধ্যে রাজধানীর বাজারগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আমদানির প্রভাবে চালের দামে ঊর্ধ্বমুখী গতি দিক বদলে নিম্নগামী হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে খুচরা পর্যায়ে চালের দাম এখনো কমেনি বলে দাবি করেছেন ভোক্তারা। রাজধানীর শ্যামবাজার, সূত্রাপুর ও নিউমার্কেট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ‘মিনিকেট’ হিসেবে পরিচিত সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে বস্তাপ্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকায়, যা আগে ছিল ২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়। গত সপ্তাহে ২ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হওয়া পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। কাটারিভোগ চাল গত সপ্তাহে ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা প্রতি বস্তা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা কমে এসেছে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। এ ছাড়া নাজিরশাইল চাল ২ হাজার টাকা প্রতি বস্তায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। স্বর্ণা চাল ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে প্রতি বস্তা চাল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, এক মাসের ব্যবধানে সরু চালের দাম ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মাঝারি মানের চালের দাম ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে মোট চাল আমদানি হয়েছে ১৩ লাখ টন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৮ লাখ ৩৫ হাজার টন এবং বেসরকারিভাবে প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার টন আমদানি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে আমদানি হওয়া চালের মধ্যে ৬ লাখ টন ভারত থেকে, ১ লাখ টন মিয়ানমার থেকে, ১ লাখ টন ভিয়েতনাম থেকে এবং বাকিগুলো পাকিস্তান থেকে এসেছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার নতুন করে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি করা হবে, যেখানে প্রতি টনের দাম হবে ৩০৮ ডলার। চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানির কারণে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, আর সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে চালের দাম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে এ দাম আরও কমে আসবে। শ্যামবাজারে চাল কিনতে আসা নিলয় আহমেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘চালের দাম পাইকারি পর্যায়ে কমলেও খুচরা বাজারে সেভাবে কমেনি। তবে যেহেতু পাইকারি পর্যায়ে কমেছে, তাই আশা করা যায় আগামী সপ্তাহে খুচরা পর্যায়েও কমে আসবে। এ জন্য তদারকি সংস্থার নজরদারি আরও বাড়ানো দরকার।’ সূত্রাপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী শেখ মো. জহির বলেন, ‘বাজারে প্রচুর ভারতীয় চাল এসেছে। এ কারণে দাম কমছে। দেশীয় চালেরও পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আগামী দুই মাসে আমন ধান উঠলে সরবরাহ আরও বাড়বে আর দাম আরও কমে যাবে। দাম কম থাকলে আমাদের ব্যবসা ভালো হয়। আর দাম বেশি থাকলে সাধারণ মানুষ কেনাকাটা কম করে, বিক্রিও কম হয়।’ এদিকে চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় চালের প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশীয় চালের চাহিদা কিছুটা কমেছে। আগে বাজার নিয়ন্ত্রণ করত বড় গ্রুপ, এখন যে কেউ চাল আমদানি করতে পারছে, ফলে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে এবং দাম কমেছে।’

জাতীয় পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (পিএসপি) মধ্যে আন্তঃপরিচালনাযোগ্য (ইন্টার-অপারেবল) লেনদেন চালুর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই সেবার আওতায় গ্রাহকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ অন্যান্য এমএফএস অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত হারে সেবা ফি দিতে হবে। দেশে নগদ অর্থের লেনদেন কমাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট (পিএসডি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১ নভেম্বর থেকে এনপিএসবি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকরা ইন্টার-অপারেবল বা আন্তঃলেনদেন সুবিধা পাবেন। এই ব্যবস্থায় ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) ও ডিজিটাল ব্যাংক একক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থাকবে। এর ফলে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে এমএফএস বা পিএসপি এবং উল্টোভাবে এমএফএস থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তাৎক্ষণিক অর্থ স্থানান্তর করতে পারবেন। এতে বলা হয়, ইন্টার-অপারেবল ব্যবস্থায় অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রেরক পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট হারে ফি আদায় করা হবে। এর মধ্যে ব্যাংক সর্বোচ্চ ০.১৫ শতাংশ, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) ০.২০ শতাংশ এবং মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ০.৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ফি নিতে পারবে। অর্থ প্রেরণের আগে গ্রাহককে এই ফি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে এবং নির্ধারিত ফি প্রেরকের হিসাব থেকে কেটে নিতে হবে। তবে প্রাপকের কাছ থেকে কোনো ধরনের চার্জ আদায় করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, এখন থেকে এনপিএসবি প্ল্যাটফর্মে ব্যাংক থেকে মোবাইল অ্যাকাউন্টে ১ হাজার টাকা পাঠাতে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা ফি দিতে হবে। পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) থেকে মোবাইল অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠাতে খরচ হবে ২ টাকা, আর মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি) থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত চার্জ প্রযোজ্য হবে। তবে, এনপিএসবি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে ব্যাংক টু ব্যাংক তহবিল স্থানান্তরের বর্তমান নিয়ম অপরিবর্তিত থাকবে। এ বিষয়ে নির্দেশনা দেশের সব তপশিলি ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার (এমএফএস) এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (পিএসপি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।