

১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে সুবর্ণচরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করেছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। নিজ নিজ দপ্তরের সকল কাজ কর্ম ফেলে দাবী আদায়ের লক্ষে এ কর্মবিরতি পালন করছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মেসী, এক্স-রে, প্যাথলজি কর্মকর্তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ রোগী। তাই আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এছাড়া একই দাবীতে এর আগে গত ৩০ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছিলেন তারা। এদিকে দাবী বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার কমপ্লিট শাট ডাউন কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট খায়রুল ইসলাম, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তুষার কুমার পোদ্দার, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রাকিবুল ইসলাম, ফার্মাসিস্ট মো: নাসির উদ্দীন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো: রাসেল উদ্দিন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শিশির লাল সাহা, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মিশু মজুমদার, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো: নুরুল হুদা পলাশ প্রমুখ। কর্মবিরতি পালনকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তুষার কুমার পোদ্দার বলেন, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে আমরা বুধবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি। দাবী বাস্তবায়ন না হলে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার কমপ্লিট শাট ডাউন কর্মসূচী পালন করা হবে। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে আমরা এ দাবীতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে আশ্বাস দিলেও দাবী বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে আমরা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমরা স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন কর আসছি। আমাদের কর্মবিরতিতে রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে। তাই আশা করছি বর্তমান সরকার আমাদের দাবী বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফেরার ও রোগীদের সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করে দিবেন। বক্তা অভিযোগ করেন- করোনা, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে জীবন বাজি রেখে কাজ করলেও ন্যায্য গ্রেড থেকে আমরা বঞ্চিত।
৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
আমার ময়না আর নেই, ডাক্তার আমার ময়নাকে খুন করেছে। ভুল চিকিৎসা আমার ময়নাকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। সে আর কখনো আমার সঙ্গে কথা বলবে না, হাসবে না। তার দুই বছরের ছোট্ট শিশু আছে— মায়ের জন্য কাঁদে, কিন্তু তার মা আর ফিরে আসবে না। এই দৃশ্য আমরা সহ্য করতে পারছি না।’ শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের হাউজিং এলাকায় মেয়েকে হারিয়ে এভাবেই কান্না করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা শাহিন আক্তার। নিহত রিংকি আক্তার বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের আব্দুল আজিজ বাবুলের মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে। তার স্বামী নুর হোসেন ইতালি প্রবাসী। তাদের দুই বছরের একটা ছেলে সন্তান রয়েছে। জানা গেছে, কিছুদিন আগে নোয়াখালীর একলাশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রিংকি আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবার তাকে হাউজিং এলাকার ডা. মো. মুজিবুল হকের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। চিকিৎসক জানান, রোগীর অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। পরিবারের সদস্যরা ২৫ নভেম্বর অপারেশনে সম্মতি দিলে সেদিনই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। অপারেশনের পর রোগীকে তড়িঘড়ি করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বাড়িতে নেওয়ার পরই রিংকির তলপেটে ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে এবং অতিরিক্ত রক্তপাত শুরু হয়। বিষয়টি চিকিৎসককে জানালে তিনি রক্তপাতকে স্বাভাবিক বলে দাবি করেন এবং কোনো ধরনের গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তাকে পুনরায় ডা. মুজিবুল হকের হাসপাতালে আনা হয়। সকাল ১০টার কিছু পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিংকি আক্তারের মৃত্যু হয়। নিহতের মা শাহিন আক্তার বলেন, আমি মনে করি চিকিৎসকের অবহেলা, দায়িত্বহীনতা এবং ভুল চিকিৎসার কারণেই আমার মেয়েকে আমরা হারিয়েছি। তার ব্যথা ও রক্তপাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, সে একটু পানিও খেতে পারে নাই। আজ সকালে আনলে ডাক্তার বলেছে সে স্বাভাবিক আছে। কিন্তু রক্তক্ষরণ হয়েছে প্রচুর। যেখানে দ্রুত সঠিক চিকিৎসা পেলেই হয়তো আজ সে বেঁচে থাকতো। নিহতের ভাই আলাউদ্দিন শাকিল বলেন, আমি শুধু আমার বোনের জন্য নয়, ভবিষ্যতে যেন আর কোনো পরিবার এভাবে প্রিয়জনকে হারাতে না হয়—সেই ন্যায়বিচারের জন্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা চাই। আমার বোনের মৃত্যুর সঠিক বিচার হোক— এটাই আমার একমাত্র দাবি। তিনি আরও বলেন, ডা. মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে এর আগেও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে। মৃত্যুর ঘটনা জানাতে গেলে চিকিৎসক ও তার সহযোগীরা পরিবারকে ধাওয়া দিয়ে বের করে দেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। আমরা সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। এলাকাবাসী জানান, তার বাড়িতেই তিনি চিকিৎসা করান এবং অপারেশন করান। তার কোনো বৈধতা নেই। তবে বারবার চেষ্টা করেও ডা. মুজিবুল হকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়েই পুলিশ প্রেরণ করেছি। এছাড়াও ভুক্তভোগীর ভাই অভিযোগ দিয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

শীতকাল এলে পানির সঙ্গে আড়ি করেন অনেকেই। পানি পানের পরিমাণও কমিয়ে দেন। মনে করেন, পানি কম খেলে, বাথরুমে কম যেতে হবে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, যতই শীত পড়ুক অন্তত ৩/৪ লিটার পানি খেতেই হবে। নয়তো শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আসল সত্য কোনটি? শীতে কতটুকু পানি পান করা উচিত? শীতকালে কতটুকু পানি পান করা উচিত? শীতে এমনিই ঘামের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। অনেকের ঘাম হয় না বললেই চলে। আর তাই শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হওয়ার রাস্তা কেবল একটাই। তা হলো টয়লেট। শীতে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় এই কারণেই। ইউরোলজিস্টের মতে, বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে শীতকালে বার বার বাথরুমে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। অনেক সময় বেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এছাড়া এই সময় কফি-চা খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই এসময় একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অনেকের শীতেও ঘাম হয়। তাদের বেশি পানি পান করতে হয়। শীতে পানি কম খেলে কোনো সমস্যা হতে পারে? সাধারণত এমন কোনো সমস্যা দেখা যায় না। গরমকালে আমাদের শরীরে ঘামের মাধ্যমে যতটা পানি বেরিয়ে যায়, শীতকালে তা প্রায় শূন্য হয়ে যায়। তবে কেউ যদি প্রচণ্ড শারীরিক পরিশ্রম করেন বা ব্যায়াম করেন বা এমন কোনো কাজ করেন যেখানে অত্যন্ত ঘাম হচ্ছে, তাহলে তাদের অবশ্যই পানি বেশি খেতে হবে। সাধারণত কতটুকু পানি পান করা উচিত? শীতে পানি কম খাওয়া হবে না কি বেশি তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে স্থান, কাল, পাত্র ভেদে। মানে ঠান্ডার দেশে সাধারণ পানি খাওয়ার মাত্রা আর আমাদের দেশের মতো আর্দ্র জায়গায় পানি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কখনও এক হতে পারে না। আমাদের দেশের জলবায়ু অনুযায়ী দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত। শীতে সামান্য কম খেলেও চলবে।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫
শীতকাল শুরু হলে বেশিরভাগ মানুষ গলা এবং বুকে অস্বস্তি অনুভব করেন। শুষ্ক ও দূষিত বাতাসের কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে, অনেকেই অতিরিক্ত কাশি, গলা বা মাথাব্যথা এবং বুক ভারী বোধ করেন। এ ক্ষেত্রে, রান্নাঘরে থাকা কিছু মসলা প্রাকৃতিকভাবে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে। শীতকালে গলা ও বুকের অস্বস্তি কমাতে সহায়ক এমন কিছু মসলা এবং ভেষজ সম্পর্কে জানুন- হলুদ গলা ও বুকের অস্বস্তি কমাতে হলুদ একটি জনপ্রিয় উপাদান। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এর প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ দূষিত বাতাসের কারণে হওয়া জ্বালা প্রশমিত করে। উষ্ণ হলুদ পানি বা হলুদ দুধ গলায় আবরিত হয়ে শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে এবং তাৎক্ষণিক উষ্ণতা দেয়। হলুদ কফ কমাতে এবং বায়ুবাহিত জ্বালাপোড়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। আদা আদা শ্বাসকষ্ট এবং গলা ব্যথা কমাতে কার্যকর। ২০১৮ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এটি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে, শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে এবং কাশি নিরাময়ে সহায়তা করে। আদা চা পান বা মধু দিয়ে কাঁচা আদা খেলে এ ধরনের সমস্যা অনেকটা কমে যায়। তুলসি পাতা তুলসি শ্বাসকষ্টের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী উপকারি প্রতিকার, বিশেষত শীতে। ২০২৩ সালের গবেষণায় এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, প্রদাহ-বিরোধী এবং ডিটক্সিফাইং গুণ গলা চুলকানি ও বুকের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। তুলসি চা বা তুলসি পাতার রস মিশ্রিত পানি শুষ্ক কফ এবং কাশি কমাতে সহায়তা করে, পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাসকে মসৃণ করে। গোল মরিচ গোল মরিচ শ্লেষ্মা পরিষ্কারের জন্য উপকারী এবং শ্বাসনালীতে ভালো বায়ুপ্রবাহ নিশ্চিত করে। স্যুপ বা উষ্ণ পানিতে মধু এবং গোল মরিচ মিশিয়ে খেলে গলায় আরাম পাওয়া যায়। এটি রক্তসঞ্চালন উদ্দীপিত করে, ফলে দীর্ঘসময় বাইরে থাকার পর বুকের ভারীতা কমাতে সাহায্য করে।
.jpeg&w=3840&q=75)
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর একটি হাসপাতালে হাতের অপারেশন করাতে গিয়ে রাবেয়া বেগম (৪৮) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে মৃতের মেজো ছেলে মো. রাজন হোসেন এমন অভিযোগ করেন। এর আগে শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রাইম হসপিটালের অপারেশন থিয়েটারে ওই নারী মারা যান। মৃত রাবেয়া লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির শামছুল হুদার স্ত্রী। নিহতের ছেলে রাজন হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দুই মাস আগে বাড়ির উঠানে পা পিছলে পড়ে বাম হাতের কবজির ওপরে ভেঙে ফেলেন মা। তাৎক্ষণিক চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের এক ডাক্তারের কাছে ভাঙা হাতে প্লাস্টার করা হয়। দুই মাস পর প্লাস্টার খুলে এক্সরে করলে দেখা যায় ভাঙা হাড় জোড়া লাগেনি। এরপর মাইজদীর প্রাইম হসপিটালের ডাক্তার ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে ৭৫ হাজার টাকায় মায়ের বাম হাতের ভাঙা স্থানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাত বসানোর চুক্তি হয়। তিনি জানান, চুক্তি মোতাবেক শনিবার সন্ধ্যায় মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অজ্ঞান করেন অ্যানেসথেসিয়ান গোলাম হায়দার। পরে তার আর জ্ঞান ফেরেনি। রাজন অভিযোগ আরও বলেন, অজ্ঞান করার এক ঘণ্টা পর তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে ব্যাপক টালবাহানা করে রাত সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান আমার মা মারা গেছেন। প্রকৃতপক্ষে আমার মা অজ্ঞান করার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। রোববার সকালে হাসপাতাল থেকে আমাদের জানানো হয় অপারেশন, আইসিইউ ও অ্যাম্বুলেন্সের কোনো খরচ লাগবে না আপনারা মরদেহ নিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে আমাকে বলা হয়েছে- আমার মায়ের হাইপ্রেশার থাকায় এমন হয়েছে। আবার বলে লো প্রেশার ছিল, এজন্য এমন হয়েছে। রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে আমার বড় ভাই ও চাচা হাসপাতালে এসে সমঝোতা করে মরদেহ নিয়ে গেছেন। কী সমঝোতা হয়েছে সেটা আমি এখনো জানি না। যোগাযোগ করা হলে মাইজদী প্রাইম হসপিটালের সিনিয়র এজিএম শিপন শাহ ভুল চিকিৎসার মৃত্যু অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, অপারেশনের পর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ডাক্তার রোগীর স্বজনদের বলেছেন আপনারা মামলা করার প্রয়োজন মনে করলে করেন। নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডাক্তার মরিয়ম সিমি বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কলা হলো সবচেয়ে পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ফলের মধ্যে একটি। সকালের নাস্তায় অনেকে কলা খেয়ে থাকেন। খালি পেটে কলা খাওয়া কি উপকারী নাকি ক্ষতিকর? এটি কেবল আপনার পেট ভরিয়ে তুলবে না, সেইসঙ্গে করবে আরও কিছু কাজও। কলা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে এবং আরও অনেক উপকার নিয়ে আসে। ১. দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে কলা খাদ্যতালিকায় নিয়মিত থাকা উচিত কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে। কলা পটাসিয়াম, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস, যা শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এটি স্ট্যামিনা বাড়ায় এবং ক্ষুধার যন্ত্রণা কমায়। কলায় তিনটি প্রাকৃতিক শর্করা থাকে- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ, যা শক্তি স্থিতিশীল এবং টেকসই করে। সকালে প্রথমেই একটি কলা খেলে বিপাক প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং প্রক্রিয়াজাত নাস্তার মতো শরীরের কোনো ক্ষতি করে না। ২. অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ডাক্তার এবং পুষ্টিবিদরা সকালের ফল হিসেবে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন, তার একটি কারণ রয়েছে। এটি দ্রবণীয় ফাইবার, বিশেষ করে পেকটিন সমৃদ্ধ, যা মসৃণ হজম এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে। খালি পেটে কলা খেলে তা অম্লতা প্রশমিত করতে এবং পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে মসৃণ মলত্যাগেও সহায়তা করে। ২০২০ সালের একটি গবেষণাপত্রও নিশ্চিত করেছে যে, কলা একটি প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে এবং মাইক্রোবায়োমকে শক্তিশালী করে। এটি পুষ্টি শোষণ এবং সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যে সহায়তা করে। ৩. রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও কলার মাঝারি গ্লাইসেমিক সূচক প্রায় ৪৮। এর অর্থ হলো এটি ধীরে ধীরে চিনি ছেড়ে দেয়, যা হঠাৎ করে বৃদ্ধি না করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। এক মুঠো বাদাম বা বীজের সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য আরও বজায় রাখা যায়। ফাইবারের পরিমাণ চিনির শোষণকে ধীর করে দেয়, যা শরীরকে চর্বি হিসেবে সংরক্ষণ করার পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক শর্করা ব্যবহার করতে দেয়।
২৩ অক্টোবর, ২০২৫
হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল এবং এখনও আছে, তবে একমাত্র সুসংবাদ হলো এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। করোনারি হৃদরোগ তখন ঘটে যখন হৃদপিণ্ডে রক্ত বহনকারী ধমনীগুলো সংকুচিত বা অবরুদ্ধ হয়ে যায়, সাধারণত ধমনীতে প্লাক বা ফ্যাট জমার কারণে এমনটা হয়। সংজ্ঞা অনুসারে এই প্রক্রিয়াটিকে এথেরোস্ক্লেরোসিস বলা হয়। যা ধীরে ধীরে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ হ্রাস করে, যার ফলে ধীরে ধীরে বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক এমনকি হার্ট ফেইলিওরও হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিণ্ড এবং ধমনীর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।এর ফলে ধমনীর দেয়াল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চর্বি জমা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিয়মিত ফলো-আপ, ব্যায়াম এবং খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে রক্তচাপের মাত্রা বজায় রেখে হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখার এটি সবচেয়ে কার্যকর উপায়। PubMed central-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে, উচ্চ রক্তচাপ দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা না করা হলে তা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল সকল কোলেস্টেরলের রিডিং একই রকম হয় না! অত্যধিক LDL বা খারাপ কোলেস্টেরল যাকে বলা হয়, ধমনীতে লেগে থাকে এবং প্লাক তৈরি করে যা ধমনীকে শক্ত করে তোলে। আপনার খাদ্যতালিকায় ফল, শাক-সবজি এবং গোটা শস্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের খারাপ চর্বি কমে যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, মোট কোলেস্টেরল বৃদ্ধি CHD-এর জন্য একটি শক্তিশালী ঝুঁকির কারণ। ডায়াবেটিস রক্তে শর্করার মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে তা রক্তনালী এবং স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা হৃদপিণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রয়োজনে খাদ্য, ব্যায়াম এবং ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, করোনারি আর্টারি ডিজিজ (CAD) ডায়াবেটিস মেলিটাস (DM) রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসের একটি প্রধান নির্ধারক। ধূমপান ধূমপান ধীরে ধীরে ধমনীর অভ্যন্তরীণ আস্তরণের ক্ষতি করে এবং শরীরে রক্ত প্রবাহ এবং অক্সিজেন হ্রাস করে যার ফলে হৃদপিণ্ডের ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়। জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ধূমপান করোনারি ধমনী রোগের (CAD) ঝুঁকির কারণ। স্থূলতা শরীরের মাঝখানে (পেটের অংশে) অতিরিক্ত ওজন বহন করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তের কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সঠিক ব্যায়াম এবং খাদ্য সচেতনতার সাহায্যে যত্ন সহকারে ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় সহজতর করতে পারে। শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাও স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো ঝুঁকির কারণ। দিনে মাত্র ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটা আপনার হৃদযন্ত্রকে শক্ত করে তুলবে এবং রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করবে। তাই অলস শুয়ে-বসে না থেকে শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করুন।