
.jpg&w=3840&q=75)
মোহাম্মদ উল্যা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম। বুধবার (৩ডিসেম্বর)শেষ কর্মদিবসের আগ মুহূর্তে তাঁর বিদায়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় প্রশাসন,সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম দায়িত্বকালীন সময়ে মানবিকতা,ন্যায়নিষ্ঠা ও প্রশাসনিক দৃঢ়তার জন্য তানভীর ফরহাদ শামীম পরিচিতি পেয়েছিলেন একজন নীতিবান ও জনমুখী প্রশাসক হিসেবে। তিনি সরকারি নিয়মনীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করার পাশাপাশি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিভিন্ন সংকটমুহূর্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সব মিলিয়ে তিনি কোম্পানীগঞ্জে রেখে গেছেন কর্মনিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের শক্ত ছাপ। স্থানীয়দের মতে,উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা,জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা,সরকারি সেবার মানোন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে (ইউএনও) শামীমের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। মাঠপর্যায়ে কাজ করা সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ডিজিটাল বা অনলাইন মিডিয়া সকল গণমাধ্যমকর্মীরাও তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাকে শিক্ষণীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, দায়িত্বের জায়গায় দৃঢ়তা এবং মানুষের প্রতি আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে একজন অনুকরণীয় সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে মনে রাখার মতো করে তুলেছে। বিদায়ের মুহূর্তে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন,নতুন দায়িত্বস্থলেও তিনি একইভাবে মানবিকতা ও সেবার আলো ছড়িয়ে যাবেন। বিদায় সম্পর্কে এক সাংবাদিক মন্তব্য করেন, বিদায় মানেই বিচ্ছেদ নয় এটি নতুন পথচলার শুভ কামনা। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম সুনামের সঙ্গে কর্মস্থল অতিবাহিত করেছেন,তিনি যেখানে থাকবেন, মানবিকতার আলো সেভাবেই ছড়িয়ে দিন এই কামনাই রইল।

মোহাাম্মদ উল্যা কোম্গানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য,রোববার (৩০ শে নভেম্বর) রাত ৮ ঘটিকায় বসুরহাট শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির কমপ্লেক্সে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবু অরবিন্দ ভৌমিক এর সভাপতিত্বে ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর সভাপতি শ্যামল দাসের সঞ্চালনায় প্রার্থনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও প্রবাণ শিক্ষক সন্তোষ কুমার মজুমদার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার অসীম মজুমদার, এডভোকেট শংকর ভৌমিক,বিএনপি নেতা ও সিরাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর চন্দ্র চন্দ,প্রফেসর বিমল মজুমদারসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত সকলে সাবেক তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘ হায়াত কামনা করে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করেন এবং দেশ মাতৃকার শান্তি,শৃঙ্খলা ও উন্নতির জন্যও প্রার্থনা করেন।

মোহাাম্মদ উল্যা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী-৫: মনোনয়নবঞ্চিত আবেদের পক্ষে ভুয়া আইডির প্রচারণা, থানায় পৌরকর্তৃপক্ষের অভিযোগ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ফেক আইডি’ খুলে বসুরহাট পৌরসভার নাম ও অফিসিয়াল লোগো ব্যবহার করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পৌরকর্তৃপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বসুরহাট পৌরসভার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পৌরকর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের লোগো অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়। এতে পৌরসভার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ জনগণ বিভ্রান্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে দলে ভেতর উত্তাপের মধ্যেই নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মনোনয়নবঞ্চিত বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের পক্ষে অজ্ঞাত পরিচয়ের একদল ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ফেক আইডি’ খুলে প্রচারণা চালাচ্ছে। এসব আইডিতে বসুরহাট পৌরসভার নাম, অফিসিয়াল লোগো এবং প্রশাসনিক পরিচয়সূচক তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। পৌর কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে আরও জানান, ফেক আইডিগুলো থেকে আবেদের পক্ষে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য, প্রচারসামগ্রী এবং রাজনৈতিক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। এতে জনমনে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে এবং পৌর প্রশাসনের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ফেক আইডিগুলোর অ্যাডমিন শনাক্ত করতে সাইবার ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম,বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের ঘনিষ্ঠরা দাবি করেছেন, এসব ফেক আইডির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা এটি ‘নির্বাচনী অপপ্রচার’ বলেও উল্লেখ করেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী-৫ আসন ইতোমধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। মনোনয়নবঞ্চনা, বিক্ষোভ এবং পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে এলাকা উত্তপ্ত—আর তার মধ্যেই ফেক আইডি ব্যবহার করে পৌরসভার লোগো অপব্যবহারের অভিযোগ নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম, লোগো বা প্রতীক অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে। অপরাধ প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পৌর কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।

মোহাাম্মদ উল্যা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে দীর্ঘ দিন ধরেই উঠেছে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির গুঁড়োর অভিযোগে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছে। সোমবার(২৪ নভেম্বর)অভিযানে দুদক রিপোর্ট করেছে যে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কিছু কৃষি কর্মকর্তা ও স্টাফরা কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়ম করেছেন, বিশেষ করে হারভেস্টার মেশিনসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কেনায় স্বাভাবিক কার্যপ্রণালী লঙ্ঘন করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে যে কৃষি ঋণ ও কৃষি ভর্তুকি হিসেবে দেয়া অর্থ কিছু চক্রের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। “রাজস্ব খাত ও পুষ্টি বাগান প্রকল্প” নামের কিছু স্থানীয় কৃষি প্রকল্পেও অনিয়ম রয়েছে বলে দুদক উল্লেখ করেছে। অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান, এবং একজন ইন্সপেক্টর মো. ইদ্রিস। তদন্তকারী দল বিভিন্ন অফিস কাগজপত্র পর্যালোচনা করেছে এবং প্রাথমিকভাবে অভিযোগগুলোর মধ্যে “তথ্য-উপাত্তে সত্যতা” ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন। দুদক গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই প্রাথমিক তথ্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে এবং তাদের নির্দেশমতো পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি অভিযোগগুলি প্রমাণিত হয়, তাহলে কোম্পানীগঞ্জের কৃষি কর্মসূচি ও কৃষক-ভর্তুকি ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে, বিশেষ করে যারা কৃষি ভর্তুকি বা যন্ত্রপাতি প্রণোদনার ওপর নির্ভর করে। এই ধরনের অভিযান স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার গুরুত্বকে পুনরায় আলোচ্য বিষয় করে তুলেছে। দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান গণমাধ্যমকে বলেছেন,প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তে যেসব অনিয়ম ধরা পড়েছে, সেগুলো প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে এবং কারও বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মোহাাম্মদ উল্যা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী–৫ আসনের বিএনপির চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থী ফখরুল ইসলাম–এর সমর্থনে চরকাঁকড়া ৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব চরকাঁকড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচনী মহিলা সমাবেশ। এতে বিপুলসংখ্যক নারী উপস্থিত হয়ে সমর্থন জানায়। সমাবেশে প্রার্থীর সহধর্মিণী জোছনা আরা বেগম(বেগম ফখরুল) উপস্থিত নারীদের উদ্দেশে আবেগঘন কণ্ঠে বলেন,“আমি আপনাদের মেয়ে, আপনাদের বোন। আমার স্বামীকে নির্বাচিত করলে আমাকে সব সময় আপনাদের পাশে পাবেন।” তার এই বক্তব্য উপস্থিত থাকা নারীদের মধ্যে উৎসাহ ও উচ্ছ্বাস দেখা যায়। বক্তৃতার সময় তিনি নারী সমাজের সমস্যাবলি তুলে ধরে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। সমাবেশে উপস্থিত বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, ফখরুল ইসলাম নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন, নারী কল্যাণ, পরিবার–সমাজ নিরাপত্তা এবং স্থানীয় সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেবেন। নারীরা সমাবেশে করতালি ও স্লোগানের মাধ্যমে প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানান এবং পরিবর্তনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মতে, এ ধরনের নারীসমাবেশ আসন্ন নির্বাচনে নারী ভোটারদের ভূমিকা আরও গুরুত্ব বাড়াবে এবং প্রার্থীর প্রতি জনসমর্থন গঠনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

মোহাাম্মদ উল্যা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী-৫ আসনে জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জেএসডি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী (প্রতীক: তারা)-এর সমর্থনে বসুরহাটে গণমিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার(২২ নভেম্বর) বাদ মাগরিব কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট জিরো পয়েন্টে আয়োজিত এ পথসভায় বিপুল সংখ্যক স্থানীয় জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মী অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, আলা উদ্দিন, আর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। পথসভার সভাপতিত্ব করেন, জেএসডি নোয়াখালী জেলা শাখার সহ-সভাপতি কাজল হাজারী। পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেএসডির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ- সভাপতি বেগম তানিয়া রব। তিনি মিছিলের সামনে এসে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত তুলে শুভেচ্ছা জানান এবং দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তানিয়া রবের উপস্থিতিতে উত্তাল পথসভা। তিনি অভিযোগ করেন,“দিনে ভোট, রাতে পালানোর রাজনীতি যারা করেছে এবং নদীভাঙনের মতো সংকটময় সময়ে জনগণের পাশে ছিল না,তাদের বিরুদ্ধে জনগণ গণরায় দেবে। জেএসডির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ- সভাপতি আরও বলেন, নোয়াখালী-৫ আসনে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, হাটবাজার দখল, বাসস্ট্যান্ডে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আগে যেখানে একশ টাকা নেওয়া হতো, এখন সেখানে দুইশ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। মিসেস রব দাবি করেন, জেএসডির তারা মার্কার প্রার্থী কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী বিজয়ী হলে এলাকায় স্থায়ী রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন, নদীভাঙন প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে।তিনি বলেন, এই আসনে অনেকদিন পরে জনগণ প্রকৃত পরিবর্তনের সুযোগ পেয়েছে। প্রতীকের চেয়ে যোগ্যতার মূল্যায়ন বেশি জরুরি। (জেএসডি) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী পথসভায় বক্তারা এলাকার বিভিন্ন সমস্যা, নদীভাঙন পরিস্থিতি, রাস্তা-ঘাটের অব্যবস্থাপনা এবং অতীত নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। গণ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন,আমি জনগণের কণ্ঠস্বর হতে চাই। নোয়াখালী-৫–এর সার্বিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে চাই। জনগণের সমর্থনই আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করছে। মিছিল চলাকালে সমর্থকরা তারা মার্কার পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। এই গণ মিছিলকে নোয়াখালী-৫ আসনে জেএসডি-র নির্বাচনী প্রচারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি-প্রদর্শন হিসেবে নেতাকর্মীরা দেখছেন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন।

নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটির একটি অংশ। বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে কবিরহাট বাজারে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী ফখরুল ইসলামের পরিবর্তে বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে—‘পরিবর্তন চাই, কবিরহাটের মনোনয়ন চাই’, ‘আবেদ ভাই ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘অবৈধ ঘোষণা মানি না, মানব না’সহ নানা স্লোগান দেন তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলের দিকে কাফনের কাপড় পরে আবেদপন্থি নেতাকর্মীরা কবিরহাট কলেজের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে কবিরহাট জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাতুর রহমান হাসান, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। কাফনের কাপড় পড়ে মিছিলে অংশ নেওয়া মো. হারুন নামের বিএনপিরি এক সমর্থক বলেন, মানুষ বিএনপি ও ধানের শীষের সঙ্গেই থাকতে চায়, কিন্তু নেতৃত্বে পরিবর্তনও চায়। ফখরুল ইসলাম জামায়াতের প্রোডাক্ট। আমরা বিএনপিতে বিএনপির লোক চাই। এস আলমের দোসরকে আমরা চাই না। তিনি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে পঙ্গু করে দিয়েছেন। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের আসনের বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন চাই। এ বিষয়ে বিএনপির পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ৩৯ বছর ধরে দলের কর্মী। গত দুই বছর ধরে কবিরহাট কোম্পানীগঞ্জে সময় দিচ্ছি। স্থানীয় বিএনপির মানুষ আমাকে চায়, এটা আমার সফলতা। তারা আমাকে ভালোবেসে এমন মিছিল করেছিল। দলের সিদ্ধান্ত দল নেবে, সে বিষয়ে আমার বলার কিছু নাই। বিএনপির প্রার্থী ফখরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি বলেছি, একটা অনিয়ম অথবা জামায়াতের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। তারা যা করেছে এটা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ। দলের নির্দেশনা কেউ অমান্য করলে সেটা কেন্দ্র দেখবে। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

মোহাম্মদ উল্যা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আজ শনিবার (৮ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ১০.০০টা থেকে ১১.৪০ টা প্রাথমিক শাখা (৩য়,৪র্থ,৫ম) এবং ২.০০ থেকে ৩.৪০ পর্যন্ত নিম্ন মাধ্যমিক শাখা(৬ষ্ঠ,৭ম,৮ম) এ দু শীপ্টে ‘আসিফ মওদুদ বৃত্তি ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় । ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাজী ছানা উল্যা খাঁন,সাধারণ সম্পাদক মাস্টার সোহরাব হোসেন শামীম এবং যুগ্মসম্পাদক মাস্টার গোলাম সরোয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আসিফ মওদুদ ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশের সাবেক উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহম্মদের সহধর্মিণী, নোয়াখালী ৫ আসনের সাবেক সাংসদ হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ। আজ থেকে ৪০ বছর পূর্বে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহম্মদ উক্ত ফাউন্ডেশনের সূচনা করেন।যাহা অদ্যাবধি চলে আসছে এবং আগামীতে চলমান থাকবে বলে পৃষ্ঠপোষক দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৭৯৫ জন। এদের মধ্যে প্রথমিক শাখায় পরীক্ষার্থী ৯১৭ জন (তৃতীয় ২১১,চতুর্থ ৩০০,পঞ্চম ৪০৬) এবং মাধ্যমিক শাখায় পরীক্ষার্থী ৮৭৮ জন (ষষ্ঠ ২৬৩, সপ্তম ২৯৭, অষ্টম ৩১৮) আসিফ মওদুদ বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্রে কোম্পানীগঞ্জের সামাজিক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন অত্র এলাকার শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে উক্ত বৃত্তি পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।তারা আরো বলেন,শিক্ষার মানোন্নয়নে এবং শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশে পুনরায় পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষা চালু করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। পরীক্ষা সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন । পরীক্ষার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ সংক্রান্ত তথ্য যথাসময়ে জানানো হবে বলে ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে।

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে (কোম্পানীগঞ্জ -কবিরহাট) বিএনপি'র চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রার্থী, নোয়াখালীর বিএনপির নেতা ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেট্রো হোমসের চেয়ারম্যান,আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম। শুক্রবার( ৭ নভেম্বর)বিকেলে কোম্পানীগঞ্জে নিজ বাসভবনে ‘মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এস আলম গ্রুপের সাথে ১২শ কোটি নয়, ১২ কোটিও নয় শুধু ১২ টাকার লেনদেন আছে বা ব্যবসা আছে প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ও ব্যবসা দুইটাই ছেড়ে দেব। ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, আমি বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করেছি এবং একাধিক মামলার প্রধান আসামি হয়েছি। তবুও বিএনপির রাজনীতির হাল ছাড়িনি। আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের সময়ও আমি নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। এ কারণেই আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রিমহল ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটা দৈনিক পত্রিকা 'নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি কান্ডারি এস আলমের ক্রাইম পার্টনার জামায়াতের ফখরুল' শিরোনামে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলক ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি আমারা প্রথমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ, এবং প্রয়োজন হলে আমি এ পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হবো। তার অভিযোগ, তার পতিপক্ষ এস আলমের গ্রুপের অর্থ পাচার বা মির্জা কাদেরের সাম্রাজ্যের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া তিনি কোনো অর্থ প্রচারের সাথেও যুক্ত নন। আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের সদস্য, সাথী, রকন কোন কিছুর সঙ্গে জড়িত হওয়ার তথ্য প্রমাণ দিতে পারবে না,তবে আমি বিএনপি জন্ম হওয়ার আগে আমি ছাত্র শিবির করতাম। তিনি বিএনপি অনেক নেতার কথা বলেন, তারা অন্য দল থেকে এসে বিএনপি নীতিনির্ধারক ফোরামে পর্যন্ত, শুধু আমাকে বলে জামায়াত ইসলাম দল থেকে এসেছি এইটা হচ্ছে ষড়যন্ত্রের অংশ। ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, “যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি ফার্স্টের চেয়ারম্যান পদ ও ব্যবসা,এবং রাজনৈতিক দায়িত্ব দুটোই ছাড়তে প্রস্তুত।” ফখরুল ইসলাম জানান, তাকে হেয় ও হয়রানি করার জন্য মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে। তিনি জনমতের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিষয়টি তীব্রভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য এগিয়ে আসুন।” এসময় উপস্থিত ছিলেন,আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আফতাব আহমদ বাচ্ছু,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই সেলিম, বসুরহাট পৌরসভার বিএনপি আহ্বায়ক আব্দুল মতিন লিটন, বসুরহাট পৌরসভার বিএনপি সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, একরামুল হক মিলন মেম্বার, আনিছুল হক, মহিন উদ্দিন ছোটনসহ উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশন সংবাদ সংস্থার সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
.jpg&w=3840&q=75)
মোহাম্মদ উল্যা কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি সকল ভেদাভেদ ভুলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও পৌরসভা বিএনপি সকলকে এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সকলকের কাজ করার দৃশ্যমান সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। গত সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে নোয়াখালী-৫ আসনে (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট)উপজেলা ও সদরের আংশিক মনোনয়ন পেয়েছে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স,মেট্রো হোমসের চেয়ারম্যান, আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম। ফখরুল ইসলাম দলীয় নমিনেশন পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও পৌরসভা বিএনপি, এবং সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যাকে দল ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে মনোনীত করেছে, এবং তাঁর পক্ষে থাকতে হবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। নেতাকর্মীদের ভাষ্য আমাদের সকল রাগ, প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষ উপেক্ষা করে সকলকে মিলেমিশে চলতে হবে। দলের সকল নির্দেশনা মেনে সামনের দিকে এগোতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম করে জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সকলে এক সাথে কাজ করেছি। সেটা যেন কোন ভাবে কোন অশুভ শক্তি বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে। ত্রোয়দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামকে ধানের শীষ এর প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জাতীয় স্থায়ী কমিটির সকল সদস্যকে খুলনা বিএনপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। আল্লাহ আমাদের সকলকে ধর্য্য, সাহস ও শক্তি উপার্যন করে সকল কাজ সমাপ্ত করতে তৌফিক দান করেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি নোয়াখালীর বিএনপির নেতা ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স,মেট্রো হোমসের চেয়ারম্যান, আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ইসলাম আমাদেরকে মানবতার কল্যাণে কাজ করা শিখিয়েছে। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা এবং শান্তি বজায় রাখা শিখিয়েছে। ইসলামের আলোকেই সমাজে ইতিবাচক দিকনির্দেশনা তুলে ধরা, এটি সম্ভব ইমাম এবং খতিবদের পক্ষে। ইমাম, খতিব আমাদের তাজ,তাঁরা জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান এবং নেতৃত্ব প্রদানকারী। আপনাদের নেতৃত্বের কারণেই সমাজে আলো ছড়িয়ে পড়া সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে। যেটা একজন রাজনীতিবিদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। শনিবার (০১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বসুরহাট মেট্রো টাওয়ারের ইমাম-খতিব মত বিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভা সঞ্চালন করেন,যুবদল নেতা আজিজুল হক রাজু, এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আফতাব আহমেদ বাচ্চু। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, আলেমেদ্বীন বসুরহাট ফাজিল মাদ্রাসা ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাদের হেলালী, মোনাজাত পরিচালনা করেন, বসুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে খতিব মুফতি কামরুল হাসান বিন কাসেম। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী -৫ (কোম্পানীগঞ্জ- কবিরহাট)সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ফখরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা ও চাপরাশিহাট ইসমাইল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবুল বাশার, বিএনপি নেতা আবু তোহা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য একরামুল হক মিলন। কোম্পানীগঞ্জে ইমাম-খতিব, এবং মাদ্রাসা শিক্ষকের মতবিনিময় সভায় ফখরুল ইসলাম বলেন, ইমারা সেই প্রজ্ঞাবান এবং জ্ঞানী ব্যক্তি, যিনি সমাজ যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়, অন্ধকার থেকে আলোর উম্মোচন করে দেওয়া। এই সমাজে আপনারা অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। বিগত কিছু বছর আপনারা যেমন বাধাগ্রস্ত হয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, আলো ছড়িয়ে দিতে পারেননি, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোও সেখান থেকে বঞ্চিত ছিলাম। বঞ্চিত ছিলাম বলেই, সবাই মিলে একসঙ্গে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল, একেকজন একেক আদর্শের অনুসারী। কিন্তু দেশের গণতন্ত্র, দেশের জন্য, সমাজের জন্য সর্বশেষ শেষ বেলায় দিনের শেষে আমাদেরকে সেই ঐক্যটাকে সুদৃঢ় ঐক্যের মধ্যেই রাখতে হবে। কেননা আমাদরে উদ্দেশ্য এক, সুন্দর একটা বাংলাদেশ গড়া। জুমার দিন খুতবার মাধ্যমে সচেতনা বৃদ্ধি করা, সৃষ্টি করা এবং এই সচেতনতার মধ্য দিয়ে সমাজ উপকৃত হচ্ছে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন,আমাদের ঐক্য, এখানেই আমাদের সম্মান, এখানেই আমরা সুদৃঢ় ঐক্যটা স্থাপন করতে চাই। আমরা এদেশের সাধারণ মানুষ সবাই মিলেমিশে থাকার জন্য লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি। আমাদেরকে এ লড়াই সংগ্রাম করেই যেতে হবে। নোয়াখালীর বিএনপির নেতা ফখরুল বলেন, এখন যুগের পরিবর্তন, সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। এ সময়টি আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং। এটাকে ওভারকাম করে টার্গেটে পৌঁছার জন্য নিজেদের নীতি-নৈতিকতা যেন অবক্ষয় না হয়। সালিশ বাণিজ্য, চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ যেন আমরা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হই। চাঁদাবাজি আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা যতই রাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক সংস্কার করি, যত নাগরিক উন্নয়নের কথা বলি, ইজ্জত সম্মান যদি না থাকে, সন্ত্রাস মুক্ত, মাদক মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা চালু করতে না পারি, তাহলে আমরা পিছিয়ে যাব। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য হারুনুর রশীদ ভুঁইয়া, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান টিপু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজ আজমীরসহ বিএনপি নেতা-কর্মী, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ও গুচ্ছগ্রামে মা ইলিশ সংরক্ষণে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ কারেন্ট জাল ও মাছ ধরার দুটি নৌকা জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দফতর। অভিযান চলাকালে দুলাল উদ্দিন নামে এক জেলেকে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডিত দুলাল উদ্দিন চরফকিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আবু নাসেরের ছেলে। তাকে নোয়াখালী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বামনীয়া নদীর চরফকিরা ও চরএলাহী অংশে পরিচালিত অভিযানে ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট ও মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়। পরে জব্দ হওয়া জাল জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।