

দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের ইন্টারনেট ডাটা প্যাকেজের দামে ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটেছে। যেখানে সরকার ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, সেখানে মোবাইল অপারেটররা উল্টোপথে হাঁটছে। গত ১৮ মাসে তারা মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি প্যাকেজগুলোর ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে গ্রামীণফোন সবচেয়ে বেশি দাম বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিস্টেম সার্ভিসেস ডিভিশনের সর্বশেষ মূল্য পর্যালোচনায় এ চিত্র উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সময়কালের বিভিন্ন অপারেটরের ডাটা প্যাকেজ মূল্য বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে দেখা গেছে, গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক—এই চার মোবাইল অপারেটরই বিভিন্ন মেয়াদে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে। বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের ১ জিবি ১ দিনের প্যাকেজের দাম ৩৮ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬ টাকা হয়েছে, যা ২১ শতাংশ বৃদ্ধি। ২ জিবি ৩ দিনের প্যাকেজের মূল্য ৬৯ টাকা থেকে বেড়ে ৭৬ টাকা, ৫ জিবি ৭ দিনের প্যাকেজ ৯৯ টাকা থেকে ১৪৮ টাকা হয়েছে, বৃদ্ধি প্রায় ৫০ শতাংশ। ৮ জিবি ১৫ দিনের প্যাকেজ ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৯৮ টাকা, আর ৩০ দিনের ৩০ জিবি প্যাকেজ ৩৯৯ টাকা থেকে বেড়ে ৫৯৯ টাকা হয়েছে, বৃদ্ধি ৫০ শতাংশেরও বেশি। রবির ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। অপারেটরটির ১ জিবি ১ দিনের প্যাকেজ ৪১ টাকা থেকে বেড়ে ৪৯ টাকা, ২ জিবি ৩ দিনের প্যাকেজ ৫৪ থেকে ৬১ টাকা, ৫ জিবি ৭ দিনের প্যাকেজ ১৪৮ থেকে ১৯৮ টাকা হয়েছে। ৮ জিবি ১৫ দিনের প্যাকেজের দাম ২০৯ থেকে বেড়ে ২৪৯ টাকা এবং ৩০ দিনের ২০ জিবি প্যাকেজ ৪৯৮ থেকে ৫৯৯ টাকায় পৌঁছেছে। বাংলালিংকের ক্ষেত্রেও স্পষ্ট মূল্যবৃদ্ধি দেখা গেছে। তাদের ১ জিবি ১ দিনের ডাটা প্যাকেজের দাম ৪৯ থেকে বেড়ে ৫৮ টাকা, ২ জিবি ৩ দিনের প্যাকেজ ৬৮ থেকে ৭৮ টাকা, ৫ জিবি ৭ দিনের প্যাকেজ ১০৮ থেকে ১৪৯ টাকা হয়েছে। ৮ জিবি ১৫ দিনের প্যাকেজ ১৯৪ থেকে ২৪৯ টাকা এবং ৩০ দিনের ২০ জিবি প্যাকেজ ৩৯৯ থেকে বেড়ে ৪৯৯ টাকায় পৌঁছেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডও পিছিয়ে নেই। তাদের ১ জিবি ১ দিনের প্যাকেজ ১৬ টাকা থেকে বেড়ে ২২ টাকা, ২ জিবি ৩ দিনের প্যাকেজ ২৮ থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা, ৫ জিবি ৭ দিনের প্যাকেজ ৫৫ থেকে ৬৭ টাকা, ৮ জিবি ১৫ দিনের প্যাকেজ ৮৮ থেকে ১০২ টাকা এবং ৩০ দিনের ৩০ জিবি প্যাকেজ ২৮৪ থেকে বেড়ে ৩৫৯ টাকা হয়েছে। এ মূল্যবৃদ্ধি গ্রাহকদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে যারা মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্যাকেজ ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে মাসে অতিরিক্ত ৭৫ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত খরচ বাড়ছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেকেই ডাটা ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছেন, যা অনলাইন শিক্ষা, ফ্রিল্যান্সিং, ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা এবং বিনোদনসহ ডিজিটাল সেবাগুলোর বিস্তারে বাধা সৃষ্টি করছে। প্যাকেজের মেয়াদ কম হওয়ায় বারবার রিচার্জ করতে হচ্ছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আগের তুলনায় একই টাকায় এখন অর্ধেক ডাটাও পাওয়া যাচ্ছে না, ডাটা শেষ হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। ব্যবহারকারীরা মনে করছেন, বাজারে কার্যকর প্রতিযোগিতা না থাকায় তারা বাধ্য হচ্ছেন উচ্চমূল্যের প্যাকেজ কিনতে। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্যবৃদ্ধি গ্রাহকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তার ভাষায়, দাম বাড়ার ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেটের আওতায় আসতে পারছে না, ভবিষ্যতে তারা আদৌ আসতে পারবে কি না, তাও অনিশ্চিত। তিনি অভিযোগ করেন, অপারেটরদের নানা সুবিধা দেওয়ার পরও তারা দাম বাড়িয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল ইন্টারনেটের দাম কমানোর, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ অবস্থায় বিটিআরসিকে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। এপ্রিলে সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, দেশে তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমবে—আইটিসি ও আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং এনটিটিএন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ হারে। প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, সরকার এরই মধ্যে অপারেটরদের ডিডব্লিউডিএম এবং ডার্ক ফাইবার সুবিধা দিয়েছে। এ অবস্থায় মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই। পরবর্তী মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মোবাইল অপারেটরদের চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া সুযোগ-সুবিধাগুলো পুনর্বিবেচনার আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, ‘যেসব ট্রান্সমিশন সুবিধা অপারেটররা চেয়েছিল, সেগুলো আমরা দিয়েছি। এখন তারা দাম না কমালে তাদের দেওয়া পুরোনো বকেয়া এবং বর্তমান সুবিধাগুলো ফের আলোচনায় আনা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এমন অবস্থায় গ্রাহকস্বার্থে যৌক্তিক ব্যবস্থা নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তবে এসব নির্দেশনা সত্ত্বেও মোবাইল অপারেটররা দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বিটিআরসিকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি কোয়ালিটি অব সার্ভিস রিপোর্ট প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং খারাপ মানের সেবার জন্য জরিমানার চিন্তাভাবনাও রয়েছে। কেন দাম কমানোর পরিবর্তে বাড়ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘শুধু একটি প্যাকেজ দেখে বিচার করলে হবে না, সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে। গত দুই বছরে আমাদের রাজস্ব কমে গেছে, অন্যদিকে ট্যাক্স ও স্পেকট্রাম খরচ বেড়েছে। এ অবস্থায় আমাদের পক্ষে দাম কমানো কঠিন। তবে গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে আমরা মূল্যায়ন করছি। সরকার যদি কিছু খরচ কমিয়ে দেয়, তাহলে আমরাও ইন্টারনেটের দাম কমাতে পারি।’
২৯ নভেম্বর, ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অপতথ্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য কিংবা যেকোনো ধরনের ম্যানিপুলেশন ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় কাজ করবে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আশ্বস্ত করেছে প্ল্যাটফর্মটির প্রতিনিধি দল। বুধবার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে টিকটকের প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে এ কথা জানান সংস্থার সাউথ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ও গভর্নমেন্ট রিলেশনস হেড ফেরদৌস মুত্তাকিম। বাড়তি নজরদারি গ্রহণ করেছে টিকটক নির্বাচনকে ঘিরে প্ল্যাটফর্মে যেকোনো ধরনের অপব্যবহার রোধে টিকটকের বহুজাতিক বিশেষজ্ঞ দল ইতোমধ্যেই বাড়তি নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানান ফেরদৌস মুত্তাকিম। তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করা– যে টিকটক কোনোভাবেই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে দেবে না। বৈঠকে টিকটক তাদের বিদ্যমান সেফটি মেকানিজম, মিসইনফরমেশন (অপতথ্য) দমনে তাদের বিস্তারিত নীতিমালা এবং ইসির সঙ্গে চলমান ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতার দিকগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে। প্ল্যাটফর্মটি জানায়, কনটেন্ট ইন্টিগ্রিটি রক্ষার নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ভিডিও অপসারণ করা হয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক ভিডিও অপসারণ প্রতিদিনের কনটেন্ট ইন্টিগ্রিটি রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে। টিকটক প্রতিনিধি দল আরও জানায়, নির্বাচনকে ঘিরে অনলাইন পরিবেশ নিরাপদ রাখতে ইসি, মিডিয়া এবং প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে টিকটকের ৯ জন প্রতিনিধিসহ চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৬ নভেম্বর, ২০২৫
হোয়াটসঅ্যাপ এবার ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে এসেছে এমন একটি ফিচার, যেখানে সহজেই নিজের মুড, ভাবনা বা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা অন্যদের জানানো যাবে—ঠিক ইনস্টাগ্রাম নোটের মতো। ব্যস্ত সময়ে বা আলাদা করে মেসেজ না পাঠিয়েও এখন সবাই আপনার অবস্থা বুঝে নিতে পারবে। মার্ক জাকারবার্গের হোয়াটসঅ্যাপ নিয়মিত নতুন ফিচার যোগ করে ব্যবহারকারীদের সুবিধা বাড়ায়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ‘About’ সেকশনের বড় পরিবর্তন। আগে যেখানে শুধু ছোট একটি স্ট্যাটাস লিখে রাখা যেত, এবার সেটি আরও আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে। ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের নোট ফিচারের মতোই এখন হোয়াটসঅ্যাপেও আপনার মুড, চিন্তা, গানের লাইন বা ছোট বার্তা শেয়ার করতে পারবেন। নতুন ‘About’ নোট প্রোফাইল ছবির উপরের ছোট বাবলের মধ্যেই দেখা যাবে। কেউ চ্যাট খুললেই সেটি তার চোখে পড়বে। চাইলে আপনার নোটে রিপ্লাইও দিতে পারবে। অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে বার্তা দেখার সুযোগ হয় না। তখন একটি ছোট নোটে যদি লেখা থাকে ‘ব্যস্ত আছি’ বা ‘মিটিংয়ে আছি’, তাহলে অন্যরা সহজেই বুঝে যাবে। এ ছাড়া নিজের অনুভূতি বা ভাবনা-চিন্তাও খুব সহজে শেয়ার করা যাবে ‘About’ নোটে। হোয়াটসঅ্যাপে এলো নতুন ‘নোট’ ফিচার দাঁতের জন্য মারাত্মক খারাপ যে ৫ খাবার কীভাবে ব্যবহার করবেন নতুন About নোট - হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপটি খুলুন। - প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করুন, About সেকশনটি খুলবে। - যেটি শেয়ার করতে চান, সেটি সেখানে লিখুন। - কারা এটি দেখতে পাবে এবং কতক্ষণ দৃশ্যমান থাকবে, তা সিলেক্ট করুন। ব্যস! আপনার কাজ শেষ। সূত্র : প্রতিদিনin
২৬ নভেম্বর, ২০২৫
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন স্মার্টফোনে ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা (Earthquake Alert) পাঠানো হয়। অ্যানড্রয়েড ও আইফোন, উভয় ডিভাইসেই এই সিস্টেম রয়েছে। জরুরি মুহূর্তে কয়েক সেকেন্ড আগে পাওয়া এই সতর্কবার্তা আপনার জীবন বাঁচাতে পারে। তাই ফোনে ভূমিকম্প অ্যালার্ট চালু আছে কি না, নিশ্চিত হওয়া জরুরি। নিচে ধাপে ধাপে পদ্ধতি দেওয়া হলো। অ্যানড্রয়েড ফোনে ভূমিকম্প অ্যালার্ট চালু করার উপায় গুগল ২০২০ সাল থেকে অ্যানড্রয়েডে “Android Earthquake Alerts System” যুক্ত করেছে। বাংলাদেশসহ অনেক দেশে এটি সক্রিয় আছে। পদ্ধতি–১: সেটিংস থেকে চালু করুন Settings খুলুন Safety & Emergency (বা Location → Earthquake Alerts) এ যান বিজ্ঞাপন Earthquake Alerts অপশনটি ON করে দিন পদ্ধতি–২: Emergency Alerts অন আছে কি না দেখুন Settings → Notifications এ যান Wireless Emergency Alerts (বা Emergency Alerts) চাপুন android নিচের অপশনগুলো ON রাখুন— Severe threats Public safety alerts Alerts allowed যা নিশ্চিত করবেন মোবাইলের Location (GPS) চালু থাকবে Mobile data বা Wi-Fi চালু থাকতে হবে ডিভাইসটি গুগলের অফিসিয়াল অ্যানড্রয়েড ভার্সন হলে অ্যালার্ট দ্রুত পাওয়া যায় ios আইফোনে (আইওএস) ভূমিকম্প অ্যালার্ট চালু করার উপায় অ্যাপল আইফোনে অফিসিয়াল দুর্যোগ সতর্কবার্তার জন্য Emergency Alerts ব্যবহার করে। যে দেশগুলোতে ভূমিকম্প অ্যালার্ট সাপোর্টেড, সেখানে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। অন করার ধাপ Settings খুলুন নিচে স্ক্রল করে Notifications নির্বাচন করুন নিচের দিকে Government Alerts সেকশন পাবেন Emergency Alerts এবং Public Safety Alerts – উভয় অপশন ON করে দিন যা মনে রাখবেন ফোনে Do Not Disturb বা Silent Mode থাকলেও জরুরি সতর্কবার্তা বাজবে Location services চালু থাকলে অ্যালার্ট আরও নির্ভুলভাবে পাওয়া যায় গুগল ম্যাপ ও অ্যানড্রয়েড সেন্সর কীভাবে কাজ করে? গুগল অ্যানড্রয়েড ফোনের অ্যাক্সিলারোমিটার ব্যবহার করে ভূমিকম্পের কম্পন শনাক্ত করে। একই এলাকার অনেক ফোন একই সময়ে কম্পন বুঝলে গুগলের সার্ভার দ্রুত বিশ্লেষণ করে নোটিফিকেশন পাঠায়। ফলে কম্পনের কেন্দ্র থেকে দূরে থাকা মানুষ কয়েক সেকেন্ড আগেই সতর্কবার্তা পায়।

অবৈধ মোবাইল ফোন বিক্রি নিয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার। দেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধনবিহীন সব হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হচ্ছে। তবে বর্তমানে ব্যবহৃত কিংবা ১৬ ডিসেম্বরের আগে কেনা অবৈধ ফোনগুলো বন্ধ হবে না। মূলত ক্লোন করা, অবৈধভাবে আমদানিকৃত ও চোরাচালানকৃত ফোন বন্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, আমরা ক্লোন করা, অবৈধভাবে আমদানিকৃত ও চোরাচালানকৃত ফোন বন্ধ করব ইনশাআল্লাহ। এখানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন, ডি-রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি সমূহ কিভাবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহজ করা যায়, সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আপনার ব্যবহার করা সিমটা নিজের নামে থাকলে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি খুব সহজ। প্রবাসীরা বাইরে থেকে নিয়ম মেনে একটি বা দুটি ফোন ফ্রি আনবেন, নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রেশন করবেন। কোনো ঝামেলা হবে না। দুটির বেশি ফোনের ক্ষেত্রে এনবিআরের আলাদা নিয়ম রয়েছে, একটা ফি দিতে হয়, এটা পুরনো নিয়ম। গ্রাহকদের দিক বিবেচনা করে, বৈধ মোবাইল ফোনের দাম কমাতে যা যা করা দরকার সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে বলেও ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।
২০ নভেম্বর, ২০২৫
আলফাবেটের (গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান) নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবকাঠামো হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার বৃহস্পতিবার তাইওয়ানে উদ্বোধন করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গুগলের এটি সর্ববৃহৎ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। তাইওয়ানে রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টিএসএমসি। যার চিপগুলো এনভিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করছে। যারা বিশ্বব্যাপী এআই প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেন, “তাইওয়ান শুধু বৈশ্বিক প্রযুক্তি সরবরাহ চেইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়। বরং নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য এআই উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।” যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ডি ফ্যাক্টো রাষ্ট্রদূত রেমন্ড গ্রিন বলেন, “নতুন গুগল কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের গভীর অংশীদারিত্বের প্রতিফলন। এটি একটি নতুন যুগের সূচনা। যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।” গুগল ক্লাউডের প্ল্যাটফর্ম ডিরেক্টর গ্রেগ মুর জানান, কেন্দ্রের মূল কাজ হবে চিপ ইন্টিগ্রেশন। যার মধ্যে থাকবে গুগলের টিপিইউ এআই প্রসেসর। যা মাদারবোর্ড-এ সংযুক্ত করে সার্ভারে যুক্ত করা হবে। গুগল ২০২০ সালে তাইওয়ানে তাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারিং টিম গঠন করেছিল। এখন এই টিমের আকার তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নতুন কেন্দ্রের জন্য কয়েকশ’ কর্মী নিয়োগ করা হবে। এছাড়া গুগল ইতিমধ্যেই তাইওয়ানে দুইটি কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স হার্ডওয়্যার সেন্টার পরিচালনা করছে। ২০১৩ সাল থেকে একটি ডেটা সেন্টার চালু আছে। গুগল ক্লাউডের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমের মাহমুদ বলেন, “এটি শুধু অফিস নয়, এটি একটি ইকোসিস্টেমে বিনিয়োগ। যা তাইওয়ানের গুরুত্বকে বৈশ্বিক এআই উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে প্রমাণ করে।” চীনের সাথে রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝেও তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। চীনের সরকার এ বিষয়ে সমালোচনা করলেও, তাইওয়ান বারবার চীনা নির্মিত এআই সিস্টেমের ঝুঁকি নিয়ে সতর্কতা জানিয়েছে। নতুন এই কেন্দ্র তাইওয়ানকে আন্তর্জাতিক মানের এআই উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে থার্ড–পার্টি চ্যাট সুবিধা মেটা ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, খুব শিগগিরই অ্যাপে যুক্ত হবে থার্ড–পার্টি চ্যাট ইন্টিগ্রেশন। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চাইলে অন্য মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন করতে পারবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট (ডিএমএ)–এর বাধ্যবাধকতা মেনেই এই পদক্ষেপ। ডিএমএ–এর নিয়ম অনুযায়ী, বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য সেবার সঙ্গে ইন্টারঅপারেবল করে তুলতে হবে। যাতে ব্যবহারকারীরা এক অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে নির্বিঘ্নে বার্তা পাঠাতে পারেন। মেটা জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে ছোট পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে যে ফিচার চালানো হচ্ছিল। এখন তা বৃহত্তর পরিসরে উন্মুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে। প্রথম ধাপে BirdyChat ও Haiket নামের দুটি মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে ইউরোপের ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপগুলোর বন্ধুদের সঙ্গে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই বার্তা আদান–প্রদান করতে পারবেন। এখনই টেক্সট, ছবি, ভিডিও, ভয়েস মেসেজ ও ফাইল শেয়ার করা যাবে। তবে থার্ড–পার্টি ব্যবহারকারীদের নিয়ে গ্রুপ চ্যাট তৈরির সুবিধা কিছুটা পরে চালু হবে। যখন অংশীদার অ্যাপগুলো প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত হবে। মেটা জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসে ইউরোপ অঞ্চলের ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপের “সেটিংস”–এ একটি নোটিফিকেশন পাবেন। সেখানে থার্ড–পার্টি চ্যাট চালু করার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা থাকবে। চাইলে ব্যবহারকারীরা পরে এই ফিচার বন্ধও করতে পারবেন। তবে একটি সীমাবদ্ধতা আছে। থার্ড–পার্টি ইন্টিগ্রেশন শুধু অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস–এ কাজ করবে। ডেস্কটপ, ওয়েব বা ট্যাবলেট সংস্করণে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও মেটা সচেতন। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, যে কোনো থার্ড–পার্টি অ্যাপকে হোয়াটসঅ্যাপের সমতুল্য এন্ড–টু–এন্ড এনক্রিপশন মানতে হবে। পাশাপাশি যাতে ব্যবহারকারীরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন কোন বার্তা হোয়াটসঅ্যাপের অভ্যন্তরীণ চ্যাট এবং কোনটি থার্ড–পার্টি থেকে এসেছে। সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরেই মেটা দেখিয়েছিল নতুন এই চ্যাট সুবিধাটি দেখতে কেমন হবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে থার্ড–পার্টি মেসেজের জন্য আলাদা একটি ফোল্ডার রাখতে পারবেন। অথবা সব বার্তা এক ইনবক্সে একসঙ্গে রাখার অপশনও পাবেন। নতুন কোনো অ্যাপ যুক্ত হলে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নোটিফিকেশন পাঠাবে। ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট মেনে প্রযুক্তি বিশ্বে যে পরিবর্তন আসছে। হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন ফিচার সেই রূপান্তরেরই বড় উদাহরণ। আর ব্যবহারকারীদের জন্য এটি হতে যাচ্ছে আরও উন্মুক্ত ও সুবিধাজনক যোগাযোগ অভিজ্ঞতা।

বিশ্বজুড়ে আলোচনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। গুগল, ওপেনএআই, এনভিডিয়া - সবাই এই প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায়। এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা। বরং সবচেয়ে বড় বাজি ধরেছে তারাই। তবে এই বাজি এখন মেটার জন্য কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্ক জুকারবার্গের প্রতিষ্ঠানটি এআই অবকাঠামো গড়তে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিশাল ডেটা সেন্টার নির্মাণ করছে। আগামী তিন বছরে শুধু এ খাতেই ব্যয় হবে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি প্রকাশিত ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় কোম্পানির অপারেটিং খরচ বেড়েছে সাত বিলিয়ন ডলার। আর মূলধনী ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার। জুকারবার্গ ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এই ব্যয় মূলত ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ। “আমরা এমন একটি অবস্থায় যেতে চাই, যেখানে মেটার নিজস্ব শক্তিশালী এআই মডেল তৈরি হবে, যা অন্য কোথাও নেই,” বলেন তিনি। তবে এই ব্যাখ্যায় বিনিয়োগকারীরা আশ্বস্ত হননি। প্রতিবেদনের দিন থেকেই মেটার শেয়ারমূল্য হুড়মুড় করে নামতে শুরু করে। দুই দিনের ব্যবধানে কোম্পানির বাজারমূল্য ২০০ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, সমস্যা একটাই- এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের বিনিময়ে এখনো কোনো দৃশ্যমান এআই পণ্য বাজারে আনতে পারেনি মেটা। গুগল বা ওপেনএআইয়ের মতো তাদের কোনো সফল বাণিজ্যিক পণ্য নেই। যা আয় বাড়াতে পারে। মেটার সবচেয়ে আলোচিত এআই পণ্য মেটা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। যা ব্যবহার করছে এক বিলিয়নের বেশি মানুষ। তবে এই সংখ্যা অনেকটাই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের বিশাল ব্যবহারকারীভিত্তির কারণে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এখনো চ্যাটজিপিটির মতো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। জুকারবার্গ জানিয়েছেন, তাদের ল্যাব থেকে তৈরি নতুন মডেলগুলো শিগগিরই বড় পরিবর্তন আনবে। তবে কবে তা বাজারে আসবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেননি। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, মেটা এখন এক সন্ধিক্ষণে। প্রতিষ্ঠানটি বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে। কিন্তু এখনো জানে না তারা ঠিক কোন পথে এআই ব্যবহার করবে। বিজ্ঞাপন, ব্যবসায়িক সেবা নাকি ভোক্তাপ্রযুক্তি খাতে। এক কথায়, এআইয়ের ভবিষ্যতে বাজি ধরেছে মেটা। কিন্তু এখনো নিশ্চিত নয়, সেই ভবিষ্যৎ কবে আসবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ শনিবার (০১ নভেম্বর) থেকে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ১০টির বেশি সক্রিয় সিম রাখা যাবে না। সংস্থাটি আরও জানায়, অপারেটররা আজ থেকেই অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করবে। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানায়, বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) পরেই অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর আগে গত ৩০ জুলাই বিটিআরসি জানিয়েছিল, একজন ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম থাকতে পারবে না। অতিরিক্ত সিমগুলো নভেম্বর থেকে বন্ধ করা শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে ডি-রেজিস্ট্রার করতে হবে। যদিও এর আগে একজন নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। সম্প্রতি বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, শনিবার ( ০১ নভেম্বর) থেকেই অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করবে। ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নিশ্চিত করব, কোনো এনআইডির নামে ১০টির বেশি সিম সক্রিয় থাকবে না। আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম এক এনআইডিতে সর্বোচ্চ কত সিম, কবে থেকে কার্যকর বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় একজন নাগরিকের এনআইডির বিপরীতে ব্যক্তিগত সিম নিবন্ধনের সর্বোচ্চ সংখ্যা আরও কমানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত এবং দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের নতুন সিম রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫টিতে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তটি অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। গত ২৬ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছিলেন, নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত পর্যায়ে মোবাইল সিম ব্যবহারের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। বর্তমানে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারেন। নির্বাচনের আগে সেটি কমিয়ে পাঁচ থেকে সাতটি করা হবে। তবে সরকারের লক্ষ্য রয়েছে ব্যক্তি পর্যায়ের সিম ব্যবহার আরও কমিয়ে দুটিতে নামিয়ে আনা। এদিকে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী জানান, ৩১ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে ১০টির বেশি সিম রাখা যাবে না। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সিম সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হবে। একটি এনআইডির বিপরীতে কতগুলো সিম নিবন্ধিত আছে জানতে যেকোনো অপারেটর (গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক বা টেলিটক) থেকে *১৬০০১# লিখে ডায়াল করতে হবে। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেই সংখ্যা পাঠানোর পর এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে, ওই এনআইডিতে কয়টি সিম নিবন্ধিত আছে এবং কোন কোন অপারেটরের সিম রয়েছে।

নোয়াখালীর সকল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং বিভাগ দাবি নিয়ে অনলাইনে সোচ্চার সকলের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা নোয়াখালী বিভাগ আন্দোলনে যারা অনলাইনে কনটেন্ট তৈরি করছেন, পোস্ট দিচ্ছেন এবং গণদাবি তুলছেন, আমরা Noakhali Cyber Warrior's - NCW লক্ষ্য করেছি, কুমিল্লার কিছু অসাধু ব্যক্তি বিনা কারণে একাউন্ট ডিজেবল করা, পেজে স্ট্রাইক দেওয়া কিংবা বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যদি কারো একাউন্ট, পেজ বা কনটেন্ট নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন নির্দ্বিধায় আমাদের জানাবেন। আমরা সম্পূর্ণ ফ্রি সাইবার সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকব, এটাই আমাদের অঙ্গীকার। তবে একটি বিষয় স্পষ্টভাবে বলছি নোয়াখালী বিভাগ দাবি করার সময় কোনো জেলার মানুষকে ব্যঙ্গ করা, কাউকে হেয় করা, বিশেষ করে কোনো নারী বা ব্যক্তিকে টার্গেট করে বিদ্বেষমূলক কন্টেন্ট তৈরি করা কঠোরভাবে পরিহার করুন। আপনার কনটেন্ট হোক নোয়াখালীর ইতিহাস, গৌরব, ভাষা, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনাকে সারা দেশে তুলে ধরার হাতিয়ার। গর্বের সাথে দাবি তুলুন কিন্তু সম্মান বজায় রেখে। — নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্স

আপনার নামে কয়টি সিম নিবন্ধন করা আছে, জানেন? অনেকেই হয়তো জানেন না। অথচ এটি জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, আপনার অজান্তেই কেউ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে সিম রেজিস্ট্রেশন করে ফেলতে পারে। পরে সেই সিম কোনো অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত হলে আপনিই পড়বেন বিপাকে। বর্তমানে মোবাইল ফোনে কল, বার্তা কিংবা ইন্টারনেট—সব ক্ষেত্রেই সিম কার্ড অপরিহার্য। আর এই সিমের নিবন্ধন বাধ্যতামূলকভাবে এনআইডি দিয়ে করতে হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন এই সীমা গত ১৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়। এর আগে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু সিম জালিয়াতি ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় বিটিআরসি এই সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে আপনি চাইলে খুব সহজেই জানতে পারবেন আপনার এনআইডি দিয়ে কয়টি সিম নিবন্ধিত রয়েছে। এজন্য প্রয়োজন শুধু একটি মোবাইল ফোন ও এনআইডির শেষ চারটি সংখ্যা। প্রথমে যে কোনো অপারেটর (গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক বা টেলিটক) থেকে ফোনের ডায়াল মেনুতে গিয়ে *১৬০০১# লিখে ডায়াল করতে হবে। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেই সংখ্যা পাঠানোর পর ফিরতি এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে, আপনার নামে কয়টি সিম নিবন্ধিত রয়েছে এবং কোন কোন অপারেটরের সিম রয়েছে। তবে এখানে নম্বরগুলোর পুরোটা দেখা যাবে না, শুধু শুরু ও শেষের তিন ডিজিট দেখানো হবে। তবে যেকোনো মোবাইল নম্বর দিয়ে সে নম্বরটি কোন আইডিতে নিবন্ধন করা, সেটি এখনো জানা সম্ভব নয়। বিটিআরসির নিরাপত্তাবিষয়ক নীতিমালার কারণে এই তথ্য কেবল মোবাইল অপারেটর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য সংরক্ষিত। আপনার নামে নিবন্ধিত, কিন্তু আপনি যেসব সিম ব্যবহার করছেন না—সেগুলো বাতিল করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যাদের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের একটি তালিকা মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাঠাবে বিটিআরসি। অপারেটররা এসব গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইবে, তারা কোন ১০টি সিম রাখতে চান। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে যেসব সিম থেকে বেশি কল বা ডেটা ব্যবহার হচ্ছে এবং যেগুলো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি)-এর সঙ্গে যুক্ত। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ১৮ কোটি ৬২ লাখ সক্রিয় সিম রয়েছে। এর বিপরীতে প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখের মতো। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ গ্রাহকের নামে রয়েছে ৫টি বা কম সিম। ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে ১৬ শতাংশের মতো গ্রাহকের নামে এবং ১১ থেকে ১৫টি সিম রয়েছে মাত্র ৩ শতাংশের কাছাকাছি গ্রাহকের নামে। তাই সিমের অপব্যবহার কিংবা জালিয়াতির ফাঁদে পড়ার আগেই নিজের নামে কয়টি সিম রয়েছে তা জেনে নিন। নিয়মিত যাচাই করুন এবং অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করে নিজের পরিচয় নিরাপদ রাখুন।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ও জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে, সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। এই ৪.৫ প্রজন্মের মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট কেনা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য খরচসহ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭,০৬০ কোটি টাকা। চুক্তিটি সরাসরি ক্রয় বা জিটুজি পদ্ধতিতে চীন সরকারের সঙ্গে করা হতে পারে এবং চলতি ২০২৫-২৬ ও ২০২৬-২৭ অর্থবছরে এটি বাস্তবায়নের আশা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের হাতে আসা আনুষ্ঠানিক নথিপত্র অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিমানের মূল্য ২০৩৫-২০৩৬ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। জে-১০ সিই জঙ্গিবিমান মূলত চীনের বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত জে-১০সি-এর রপ্তানি সংস্করণ। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তৈরি করা সম্ভাব্য খরচের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিটি ফাইটার জেটের মূল্য ৬ কোটি ডলার প্রাক্কলন করা হয়েছে, এতে ২০টি বিমানের মোট মূল্য দাঁড়ায় ১২০ কোটি ডলার বা প্রায় ১৪,৭৬০ কোটি টাকা। স্থানীয় ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবহন খরচ বাবদ আরও ৮২ কোটি ডলার বা ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা যোগ হবে। এর সঙ্গে বীমা, ভ্যাট, এজেন্সি কমিশন, পূর্ত কাজসহ অন্যান্য খরচ যোগ করলে মোট ব্যয় হবে ২২০ কোটি ডলার। উল্লেখ্য, গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে পাকিস্তান এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ফ্রান্সের তৈরি ভারতের একাধিক রাফায়েল যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছিল (যদিও তা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি), যার ফলে জে-১০ সিই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। চলতি বছরের মার্চে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের সময় চীনের কাছ থেকে এই বহুমাত্রিক জঙ্গিবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং চীন প্রস্তাবটিতে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল বলে জানা যায়। এই যুদ্ধবিমান কেনার জন্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে গত এপ্রিলে বিমানবাহিনীর প্রধানকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি খসড়া চুক্তিপত্র নিরীক্ষণ করবে, জিটুজি পদ্ধতিতে কেনা সমীচীন হবে কি-না তা যাচাই-বাছাই করবে এবং চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে দরকষাকষির মাধ্যমে চূড়ান্ত মূল্য, পরিশোধের শর্তাবলী (টার্মস অব পেমেন্ট) ও চুক্তিপত্র চূড়ান্ত করবে। চুক্তিপত্রে যুদ্ধবিমানের সংরক্ষণ সহায়তা, প্রশিক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ-এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল এ এন এম মনিরুজ্জামান (অব.) গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের বিমানবাহিনীর অনেকদিন ধরেই জঙ্গিবিমানের প্রয়োজন রয়েছে এবং তারা কেনার জন্য পরিকল্পনাও করছিল।' তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, 'বর্তমানে বিশ্বে এক ধরণের ভূ-রাজনৈতিক বলয় সৃষ্টি হয়েছে। তাই কোনো দেশ থেকে কেনার আগে তার ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন আছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এখন টানাপোড়েন চলছে। এটি যেমন বিবেচনায় নিতে হবে, তেমনি আমাদের যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন আছে, তাও বিবেচনা করতে হবে।' চীনের বাইই অ্যারোবেটিক টিম তাদের প্রদর্শনী বহরে সর্বাধুনিক জে-১০সি মডেল অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা বর্তমানে চীনের অন্যতম উন্নত মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান হিসেবে বিবেচিত। এই ফাইটার জেটের উন্নত পারফরম্যান্স, পাইলটদের দক্ষতা এবং ওয়াইইউ–২০ এরিয়াল ট্যাংকারের সহায়তায় আন্তর্জাতিক এয়ারশোতে দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) মোট ২১২টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ৪৪টি ফাইটার জেট। এর মধ্যে ৩৬টি চীনা নির্মিত এফ–৭ যুদ্ধবিমান। বিএএফের বহরে পুরানো মডেলের পাশাপাশি ৮টি মিগ-২৯বি এবং রাশিয়ান ইয়াক-১৩০ লাইট অ্যাটাক বিমান রয়েছে। জে-১০ সিরিজ যুক্ত হলে তা বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হবে।