
হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজিব বলেছেন, এমপি না হলেও কিংবা রাজনীতিতে বড় কিছু না হলেও হাতিয়ার মানুষকে ছেড়ে কোথাও যাব না। হাতিয়ার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ ভাড়াটে বা উড়ে আসা নেতৃত্ব মেনে নেব না। হাতিয়ায় জন্ম নেওয়া বা নেতৃত্ব দেওয়া যে কাউকে আমরা মেনে নেব। বহিরাগত যাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আপাতত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে- হাতিয়ার মানুষ তা পরিবর্তন চাই। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে হাতিয়ায় আগমন করে আফাজিয়া বাজারে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম) মাহবুবুর রহমান শামীম হাতিয়া আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রাপ্তির পর প্রথম হাতিয়ায় এসে তিনি (প্রকৌশলী তানভীর) বলেন, আমি যখন (২০২০) হাতিয়ায় বিএনপির দায়িত্বে ছিলাম, তখন ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে বিএনপিকে আঁকড়ে রেখেছিলাম। তখন বহিরাগতরা কোথায় ছিল। দেশনায়ক তারেক রহমান দেশের বাইরে, হাইকমান্ডকে তারা ভুল বুঝিয়ে হাতিয়া আসনকে বহিরাগতর হাতে তুলে দিয়েছেন। এটি সম্ভাব্য মনোনয়ন, পরিবর্তনের সুযোগ আছে। হাতিয়ার প্রকৃত বাসিন্দা যাকেই বিএনপির মনোনয়ন দেবে আমরা তাকে মেনে নেব। তিনি আরও বলেন, জন্মের পর থেকে এই হাতিয়ার রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারের নাম আমাদের মুখস্থ। কেউ শিখিয়ে দেওয়া লাগেনি। সুতরাং বহিরাগত যারা যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছে তারা সেখানে মূল্যায়িত হোক। গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের মশাল মিছিলে শামীম পন্থীদের বাধা এবং তার (ইঞ্জিনিয়ার তানভীর) ব্যানার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলারও তীব্র নিন্দা জানান পথসভায়। পরে সভা শেষে নলচিরা ঘাট থেকে আফাজিয়া বাজার হয়ে হাজারো হোন্ডা, জিপ ও বাস একযোগে শোডাউন করে উপজেলা শহর ওছখালী মাস্টার পাড়া তার বাসভবনে অবস্থান নেন। এর আগে হাতিয়ার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রায় দশ হাজারের অধিক বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা প্রকৌশলী তানভীরকে অভিবাদন জানানোর জন্য নলচিরা নৌ-ঘাটে অবস্থান নেয়।